Stay Updated for more blog post
Blog Post 01
শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের জন্ম কাহিনী
অখণ্ড মণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন আজ থেকে প্রায় একশত চৌত্রিশ বৎসর পূর্বে অবিভক্ত ভারতবর্ষের পূর্ব বাংলার (বাংলাদেশের) ঢাকার চাঁদপুরের বিখ্যাত গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে । শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের পূর্বনাম ছিল বঙ্কিম চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় , বাড়ির সবাই আদর করে ডাকতেন ‘বল্টু’ নামে । পিতামহ পরম শ্রদ্ধেয় হরিহর গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ঢাকার সুনামধন্য উকিল । ইনি ছিলেন গৃহী সাধক । পিতা পরম শ্রদ্ধেয় সতীশ চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন একাধারে কবি , সঙ্গীত সাধক ও ব্যবসায়ী । শ্রীশ্রীবাবামণির মাতা মমতাময়ীদেবী ছিলেন অশেষ গুণের অধিকারিণী মমতার মূর্ত্ত প্রতীক । জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ব্হুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল শ্রীশ্রীবাবামণির জীবনে ।
এখানে উল্লেখ্য অখণ্ড মণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব ‘নিখিল ভারত অখণ্ড মণ্ডলী’র স্রষ্টা । তাঁহার প্রতিষ্ঠিত অখণ্ড আদর্শ একমাত্র ওঙ্কার উপাসনার মাধ্যমেই নিখিল বিশ্বের মঙ্গল সাধনার তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত । একমাত্র ওঙ্কার উপাসনার মাধ্যমেই বিশ্বের সকল দেবতার পূজা সম্পন্ন হইয়া যায় , কাজেই অখণ্ডদের ব্হুদেবতার পূজার প্রয়োজন নাই । অখণ্ড মন্ত্রে দীক্ষিত ব্যক্তিরা অখণ্ড নামে পরিচিত । শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের ভক্তরা তাকে ভক্তিভরে নাম দিয়াছেন ‘বাবামণি’
শ্রীশ্রীবাবামণির জন্ম কাহিনী বড়ই অলৌকিক । জন্ম কালে শিশুর দেহে স্বাভাবিক শিশুর মত কোন লক্ষণ ছিলনা । এক সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হয় । অতি শৈশবেই তাঁহার মাঝে দিব্য ভাব প্রকাশ পায় । তিনি শিশুর ক্রন্দন, বিড়ালের ডাক , সহ সকল ধ্বনীতেই ওঙ্কার (ওঁ) শুনতে পেতেন । হাতের লিখা লেখতে গিয়ে সবগুলো অক্ষর গুলিয়ে ওঁ হয়ে যেত । এই দিব্য শিশু যে ভবিষ্যতে ওঙ্কার মন্ত্রের প্রচারক হবেন সেইটিই ছিল পরমেশ্বরের ইঙ্গিত । সমবয়স্ক সঙ্গীদের নিয়ে ধ্যানে মগ্ন হয়ে যেতেন নামজপের খেলায় , সময়ের কোন খেয়াল থাকত না ।
For more you can watch video from YouTube link: